Sri Sri Thakur’s holy Portrait is being displayed on the wall of Netaji’s bedroom at “Netaji Bhawan” in Kolkata, West Bengal, India.

We invite all the disciples of Sri Sri Thakur Anukulchandra to take active participation and send us (Through Contact Us Page) your experiences and valuable information in the line of ideology and principles of our beloved Thakur. You can send us the writings on Sri Sri Thakur, past prophets ( Rama, Krishna, Buddha, Jesus, Mohammed, Chaitanya and Ramakrishna) and Indian culture . The write up could be in form of articles, activities, poem, play, graphics, art, essay or anything that you want to contribute. But the writing must be in confirmation to the ideology and guidelines of Sri Sri Thakur Anukulchandra.


“We heard that not a single disciple of Sri Sri Thakur was victim of incessant bombing that happened in Burma during World War II. There are some anecdotes, documented as evidence that Sri Sri Thakur saved lives of His devotees. Similar incidence was seen again that not a single devotee of Sri Sri Thakur lost life in the worst earthquake of our time that devastated Nepal on 25th April and 12th May 2015. The earthquake reportedly killed 8,787 people and destroyed more than 5 lakh homes, affecting 2.8 million of the Himalayan nation’s 28million people. Sri Khem Raj, a devotee of Sri Sri Thakur from Kathmandu reports and provides live account how Sri Sri Thakur protected His devotees from the killer earthquake.”

 

 

 

 

Below Left- Indian Prime Minister Sri Narendra Modi pays homage to Netaji in Kolkata, at Netaji’s residence in the year 2021. Sri Sri Thakur’s Photo can be seen inside the green circle, Right- Netaji with Sri Sri Thakur in Pabna in the year 1922.


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু তিনবার ঠাকুর দর্শনে আসেন। প্রথমবার আসেন I.C.Sপাশ করার পর। ঠাকুর তখনকলকাতাতেই,দ্বিতীয় ও তৃতীযবার আসেন পাবনা সংসঙ্গ আশ্রমে। সুভাষ বসুর মা-বাবা ঠাকুরের দীক্ষিত ওএকনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। একবার তারা ভক্তমন্ডলী সহ ঠাকুরকে পুরীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিনটি ছিল ১৯২২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর। সেখানে ‘হরনাথ লজে’ প্রায় দুমাস রেখেছিলেন ঠাকুরকে। এই আদর্শ সৎসঙ্গী পরিবারেরসন্তান সুভাষ বসু মা-বাবার কাছেই ঠাকুরের অমৃত জীবন কথা শুনেছিলেন।


সুভাষ বসু ঠাকুর দর্শনে পাবনা সৎসঙ্গ আশ্রমে এলে ঠাকুরের অন্যতম ভক্তপার্ষদ পূজনীয় শ্রী সুশীল বসু তাঁকে আশ্রমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান।ঠাকুরের মতাদর্শ ও তাঁর পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় নেতাজীর কাছে তুলে ধরেন সুশীলদা।


আশ্রম ঘুরে নেতাজীর খুবই ভালো লাগল যে ঠাকুরের অধিকাংশ প্রচারকেরা বিবাহিত এবং সংসারী। ঠাকুরকেমাথায় রেখে সংসার ঠিক রেখেও বিশ্বসংসারের মাঙ্গলিক-ব্রতে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এঁরা। আশ্রম ঘুরে নেতাজী বললেন – “সাধারনতঃ আশ্রম বলতে লোকে সন্ন্যাসী বা গৃহত্যাগীদের আশ্রমই বোঝে। গৃহী হয়ে পরিবার সহ আশ্রম জীবন -যাপন করবার দৃষ্টান্ত আপনারাই প্রথম দেখাচ্ছেন। পরিবার পরিজনের ভার ঘাড়ে করে,দৈন্য অভাব অভিযোগের মধ্য দিয়ে আপনারা এগিয়ে চলেছেন। তাই আমার মনে হয়, আপনারা একটা বড় গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন। আপনারা যদি সত্যি সত্যি এভাবে আশ্রম গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনারা দেশের কাছে একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। গৃহী হয়েও আশ্রমজীবন যাপন করা যায় একথা লোকের কাছে আর অবিশ্বাস্য বলে বোধ হবে না। এরপর নেতাজী ঠাকুরের কাছে এসে ভক্তিভরে প্রাণাম করলেন। নেতাজীকে বসবার যে চেয়ার দেওয়া হয়েছে সেখানে বসলেন না তিনি -মাতৃভক্ত নেতাজী বললেন -“ঠাকুর আমার মায়ের ইষ্ট তাঁর সামনে আমি চেয়ারে বসতে পারি না”। বলে ঠাকুরের পদপ্রান্তেই বসে পড়লেন নেতাজী। ঠাকুর সস্নেহে নেতাজীর মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সকলের কুশল সংবাদ নিলেন। তারপর নেতাজী ঠাকুরকে বললেন -“দেশের তো নানা কাজই করবার আছে। তা দেশের প্রকৃত সেবা করতে হলে কোথা থেকে আরম্ভ করতে হবে ?এ বিষয়ে আপনার মত কি? ঠাকুর নেতাজীর দিকে গভীর স্নেহল চোখে তাকালেন। তারপর ভাব বিভোর কন্ঠে বললেন –


“আমার কথা হচ্ছে দেশের কাজ করতে হলে প্রথম মানুষ তৈরীর কর্মসূচী নিতে হবে। ভাল মানুষ পেতে হলেই বিবাহ-সংস্কার আশু প্রয়োজন। আর এটা এমনভাবে করতে হবে যাতে সব বিয়েগুলিই Compatible(সুসঙ্গত)হয়,আর Compatible বিয়ে মানেই বিহিত সঙ্গতি। বর্ণ, বংশ, আয়ু, স্বাস্হ্য ইত্যাদি সব হিসাব করে দেখে শুনে কজ করতে হয়। বিহিত বিবাহ হলেই ভাল সন্তানাদি আসে আর তখন তাদেরই দ্বারাই দেশের,দশের সবারই কাজ হয়। সেইজন্য মানুষ তৈরীর ব্যবস্থা আগে করা প্রয়োজন। দাশদা (দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ)যখন আমায় বললেন যে তিনিমানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না যার উপর ভার দিয়ে তিনি একটু সরে দাঁড়তে পারেন তার উত্তরে আমি একথাই বলেছি”।


ঠাকুরের কথা শুনে নেতাজীর চোখেমুখে গভীর চিন্তার ছাপ পড়ল। তাঁর চিন্তা জগত নতুন আলোড়ন সৃষ্টি হলো যেন। নেতাজী ঠাকুরকে বললেন-মানুষ তৈরীর যে আশু প্রয়োজন তা ভেবেছি,কিন্তু তা করতে হলে যে বিবাহ সংস্কার প্রয়োজন তা ভেবে দেখিনি।….এখন ভেবে দেখছি ভাল সংস্কার-সম্পন্ন শিশু যদি না জন্মায় শুধু শিক্ষা তাদের বিশেষ কি করতে পারে ? বীজ থেকেই তো গাছ হয়, বীজ ভাল হলেই গাছ ভাল হবে। এটা আপনার কথা শুনে বুঝতে পারছি। কিন্তু এতে দীর্ঘসময় সাপেক্ষ। ঠাকুর দৃপ্তকন্ঠে বললেন – দীর্ঘ সময় তো নেবেই – আমরা তো এতদিন পর্যন্ত জাতির বা সমাজের জন্য কিছুই করিনি। বহু গলদ জমে গেছে। সাফ করতে সময় নেবে বৈকি ?কোন Shortcut Programme (সংক্ষিপ্ত কর্মসূচী) এ জাতির সত্যিকার কল্যান হবে বলে আমার মনে হয় না।

Netaji Met Sri Sri Thakur in Pabna

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু


Parents of Netaji Subhash Chandra Bose took the holy initiation of Sree Sree Thakur early in the 20’s. And, to fulfill mother’s wishes Netaji came to Himayetpur Satsang Ashram to meet Sree Sree Thakur on 20th July 1921, then on 10th February 1929 and on 4th June 1939.


He saw the various activities and establishments of Ashram and met Thakur. He had a discussion with Thakur regarding the entire condition of the country. Thakur shared with him the importance of marriage reforms which would result in the birth of better human beings. Subhash Chandra mentioned to Thakur that Vivekananda had stressed on education for human upliftment. . Subhash Chandra further said to Thakur that he was beginning to realize the importance of the inherent factors of human being. If the inherent-factor is not supportive, good education cannot serve the purpose. Seed has to be good. Indeed he was amazed to hear about this new approach and dimension of Thakur’s man-making programme. But, he again questioned (somewhat to this effect) – Wouldn’t the birth of better progeny through marriage reformations take very long (20-30 years at least) ? But, Thakur stressed – For sustainable and the solid foundation of a country, we have to give that time and no-shortcut will work !


For the last time Netaji came to meet Thakur on 4th June 1939 at Pabna, after he had established “Forward Block” (after leaving Congress party). Thakur asked him to stay at Pabna Satsang Ashram on that day. But due to some urgent work he had to go to Dhaka and he could not stay. At the time of departure he wished to have a private talk with Thakur for a while. But again he changed his mind after realizing the inconvenience to the huge crowd that had come to meet him. Though , Sushil Chandra Basu-da (A keen devotee of Thakur), had said that he would arrange the meeting with Thakur, Netaji did not agree for the same cause ! It’s unfortunate – that the discussions could not take place…..if it had taken place, who knows, the history of our country could have been different !


Excerpts from : “Thakur Anukulchandra,- A brief on a marvellous personality” [Just Released] by Sri Manilal Chakraborty [Pg 50-52] It opens for all on 23rd Jan every year. The famous “Netaji Bhawan” which is also known as “Netaji Research Bureau” at 38/2 Elgin Rd, Kolkata. Sree Sree Thakur’s holy Portrait is being displayed on the wall of Netaji’s bedroom at “Netaji Bhawan”.


শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস (সি.আর. দাস)

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ কলকাতা মানিকতলার বাড়ীতে প্রথম ঠাকুর দর্শনে আসেন। তার আগে ঠাকুরের অন্যতমভক্ত পার্ষদ সুশীল বসু, কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য এঁরা এক বিশেষ প্রয়োজনে দেশবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। সৎসঙ্গ থেকে এসেছেন শুনেই সশ্রদ্ধ আগ্রহে বললেন -এ কোন সৎসঙ্গ, পাবনা কি? হ্যাঁ বলাতেই তিনি আনন্দিত হয়ে ফুল্লকন্ঠে বললেন – “ঠাকুরের কথা আমি বারীনের কাছে ঋষি অরবিন্দের ভ্রাতা) অনেক শুনেছি। বারীণের মুখে গল্প শুনে বহুদিন থেকে ইচ্ছে তাঁকে নিজের চোখে দেখব” এরপর দেশবন্ধু সাগ্রহে বললেন – আপনাদের ঠাকুর এখন কোথায় ? বলা হলো – তিনি মানিকতলায় আছেন। একদিন সন্ধ্যায় মানিকতলার বাড়ীতে দেশবন্ধু ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে আসেন । দেশবন্ধুকে দেখে ঠাকুর মধুর হেসে প্রেমল কন্ঠে চির পরিচিতের মতো আদর করে কাছে বসালেন।


এরপর তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে অনেক আলোচনা চলতে লাগলো। স্বরাজ নিয়ে, নন-কোঅপারেশন নিয়ে, চরকা, খদ্দর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা হলো। দেশবন্ধু ব্যথিত কন্ঠে বললেন – “আমারও এ রাজনীতি ভাল লাগেনা। এমন জড়িয়ে গেছি যে বেরুতে পারছি না। একজন তেমন উপযুক্ত লোক খঁজে পাচ্ছি না, যার হতে সব তুলে দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত হতে পারি।” এইবার ঠাকুর মোক্ষম প্রশ্নটি ছুঁড়লেন। বললেন “দেখুন দাশদা আপনি নিজেই বলছেন সারা দেশে একজন উপযুক্ত লোক খুঁজে পাচ্ছেন না, যে দেশে একটা মানুষের মতো মানুষ দেখছেন না, সে দেশে স্বাধীনতা এনে দেবেন কার হতে?বানরের হাতে খোন্তা পড়লে উয়ে ভোগ করবিনি কিডা ?


আর দাশদা এই দিকটা একবার ভেবে দেখেছেন কি – ঋষি অধ্যুষিত যে পুণ্যভূমিতে ঘরে ঘরে মুনি ঋষি দেবতা জন্মাত সে দেশে এই মানুষের আকাল কি করে হলো?” দেশবন্ধু কিছু না বলে অবাক চোখে নির্বাক চেয়ে রইলেন ঠাকুরের দিকে। দেশবন্ধুকে নীরব দেখে ঠাকুর বললেন – দেশে মানুষ কী করে হবে দাশদা, সমাজটা যে একদম পচে গেছে। ঘরে ঘরে অশান্তি, দাম্পত্য সুখ নেই, শিশুমৃত্যু। আজকাল বিয়েথাই ঠিক মতো হচ্ছে না – ভাল সন্তান আসবে কোন পথে। তাই বলি সমাজকে যদি সংস্কার করতে চান আশু প্রয়োজন বিবাহ সংস্কার। এই মূল কাজটা যদি করতে পারেন দেখবেন কুড়ি পঁচিশ বছর পর এমন সব তারুণ্যদীপ্ত সৎ যুবক পাবেন – দেশে কোথাও সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাব হবে না। কাজেই আগে প্রজনন বিজ্ঞানসম্মত সুবিবাহের মাধ্যমে সু-মানুষ তৈরী করুন । দেশবন্ধু দেখছেন ঠাকুরের মুখটা প্রেম ও প্রজ্ঞার দীপ্তিতে আরো জ্যোতিষ্মান হচ্ছে ক্রমশঃ । ঠাকুর তেমনি মর্মষ্পর্শী মমতা নিংড়ে বললেন – “দেখুন দাশদা, যিনি সবটা দেখেন এমন একজন প্রেমিক দ্রষ্টা পিছনে না থাকলে হয় না। পুরুষোত্তম শ্রী কৃষ্ণ পিছনে ছিলেন বলেই অর্জুন মহাভারতের মহা মহা রথীদের জয় করতে পেরেছিলেন। রামদাসকে গুরু মেনেই শিবাজী মহারাষ্ট্র জাতি গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। চাণক্য না থাকলে চন্দ্রগুপ্তের পক্ষে সম্ভব হতো না চন্দ্রগুপ্ত হওয়া। আর রাণাপ্রতাপকে দেখুন,অত প্রতাপ থাকা সত্বেও কৃতকার্য্য হতে পারলেন না।


দেশবন্ধু এবার পরোপুরি সমর্পিত স্বরে বললেন -“তবে কিভাবে কেমন করে কি করতে হবে আপনি আমায় বলে দিন। ঠাকুর প্রীতিমুধুর কন্ঠে বললেন – “গভীর ইষ্টানুরাগে খুব নাম করতে হয় দাদা। খুব নাম করতে হয়। দেশবন্ধু বললেন নাম তো অনেক করেছি ঠাকুর। কই তাতে তো তেমন কিছু হয়নি আমার ? শ্রীশ্রী ঠাকুর নিজের বৃত্তিমাফিক নাম করলে হয়না। সদ্দীক্ষার মাধ্যমে ভাল করে জেনে নিতে হয় যুগপোযোগী সাধন পদ্ধতি। সেইভাবেই চলতে হয়। এরপরই দেশবন্ধু গভীর বিশ্বাস ও নির্ভরতায় নিজেকে নিঃশেষে সঁপে দিলেন ঠাকুরের পায়ে। দীক্ষা হলো দেশবন্ধুর, মাতা মনোমহিনী দেবীর মাধ্যমে দীক্ষা নিলেন দেশবন্ধু। সে দিনটি ছিল ১৯২৪ সালের ১৪ই মে। দীক্ষা নেবার পর শুরু হলো দেশবন্ধুর নতুন জীবন ।


শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী উপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মরমী কথাশিল্পী ১৯৩৯ সালের ৩০শে জুলাই পাবনা হিমাইতপুর আশ্রমে আসেন। ঠাকুরের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ঠাকুরের বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশ্বজনীন মতাদর্শ দেখে খুবই মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হন। শেষে তিনি দীক্ষা নেবার বাসনা ব্যক্ত করেন।

দীক্ষা হলো তাঁর কলকাতায়। সৎসঙ্গের ঋত্বিকাচার্য্য শ্রী কুষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের কাছে দীক্ষিত হয়ে শ্রীশ্রী ঠাকুরকে ইষ্ট-আদর্শ রূপে বরণ করে নিলেন বিভূতিভূষণ। একবার কেষ্টদা (কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য্য) কথা প্রসঙ্গে থেকে ঠাকুরের অপ্রাকৃত অনুভূতির সেই বর্ণনাতীত বর্ণনা পাঠ করে শোনাচ্ছেন, আর তন্ময় স্তব্ধ হয়ে বিভূতিভূষণ পান করছেন সেই অভূতপূর্ব অনাস্বাদিত প্রেমামৃত রসনির্যাস। পাঠ শেষ হলে আবেগ-আপুত কন্ঠে উচ্ছসিত হয়ে লেখক বললেন – “বহু মহাপুরুষের সাধনার কথা শুনেছি, কিন্তু এমন অপূর্ব অনুভূতির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বর্ণনা জীবনে কখন শুনিনি। চেষ্টা করে এ ভাব ও ভাষা আয়ত্ব করা যায়না। আপনারা ঠাকুরের এই অপূর্ব সাহিত্য জনসমক্ষে তুলে ধরেন না কেন? এর স্বাদ অনন্য ।”